তারিখ : ১৯ মে ২০২৪, রবিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

ভালুকায় পারিবারিক কলহে বৃদ্ধা খুন,আটক ৩

ভালুকায় পারিবারিক কলহে বৃদ্ধা খুন,আটক ৩
[ভালুকা ডট কম : ০৫ মে]
ভালুকায় পারিবারিক কলহের জেরে পুত্রবধু ও নাতির হাতে রোজাদার জুলেখা খাতুন (৭০) নামে এক বৃদ্ধা নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি ঘটেছে শনিবার (০৪ মে) রাতে রাজৈ ইউনিয়নের কুল্লাব গ্রামে। নিহত বৃদ্ধা ওই গ্রামের মৃত শামছুল হক খান ওরফে সাঈদ মাস্টারের স্ত্রী। ওই ঘটনার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে নিহতের পুত্রবধূ সেলিনা আক্তার (৪২), নাতি আশিক (২৬) ও আশিকের স্ত্রী অন্তঃসত্ত্বা চাঁদনী (২৫)কে পুলিশ আটক করেছে। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

থানা পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, প্রায় এক বছর পূর্বে জুলেখা খাতুনের নাতি আশিক ময়মনসিংহ সদর নিবাসী চাঁদনি নামে এক টিকটকার কে বিয়ে করেন। চাঁদনিকে বিয়ের পর থেকেই ওই পরিবারে কলহ শুরু হয়। ৪ মে শনিবার বিকালে জুলেখা খাতুন তাঁর পানের বাটা খোঁজে না পাওয়াকে কেন্দ্র করে তাঁর মেঝো ছেলে আনোয়ারের স্ত্রী সেলিনা আক্তারের সাথে জুলেখার কথা কাটাকাটি শুরু হয়। এ সময় সেলিনা আক্তারের পুত্রবধু চাঁদনি তার স্বামী আশিককে ফোনে ঘটনাটি জানালে আশিক তাঁর কর্মস্থল ত্রিশালের বগার বাজার ডাচবাংলা এজেন্ট বুথ থেকে বাড়ী এসে ঝগড়ায় সামিল হন। ঝগড়ার এক পর্যায়ে আশিক তার মা সেলিনা আক্তার ও স্ত্রী চাঁদনি মিলে দাদীকে লাঠি দিয়ে উপুর্যপরি মাথা ও শরীরে আঘাত করলে তিনি মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। বৃদ্ধা জুলেখা খাতুনের আর্তচিৎকারে আশপাশের লোকজন বাড়ির প্রাচীর টপকে ভিতরে প্রবেশ করে তাঁকে আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। জুলেখার ছোট ছেলে টি.এইচ খানকে স্থানীয়রা মোবাইল ফোনে খবর দিলে তিনি, তাঁর বোন শামছুন নাহার ও বড় ভাবি ফাতেমাকে সাথে নিয়ে ভালুকা সদর থেকে গ্রামের বাড়ি গিয়ে তাঁর আহত মাকে উদ্ধার করে ভালুকা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে নিয়ে আসেন। জুলেখার অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। বৃষ্টির সময় এ্যাম্বুল্যান্স সংগ্রহ করতে বিলম্ব হওয়ায় জুলেখা খাতুন ভালুকা হাসপাতালে থাকা অবস্থায় মারাযান। জুলেখা মারা যাওয়ার সংবাদ পেয়ে সেলিনা আক্তার,ছেলে আশিক ও চাঁদনি বাড়ি ছেড়ে পালিয়ে যান।

নিহতের মেয়ে শামছুন নাহার জানান, তার মা ওই দিন রোজা রেখে ছিলেন। তার মাকে উদ্ধার করে অটো যোগে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি তাদের কাছে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিয়ে গেছেন। নিহতের দেবরের ছেলে সুমন জানান তার চাচীর চিৎকার শুনে আশপাশের লোকজন দেয়াল টপকিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে তাঁকে গুরুতর আহত অবস্থায় উদ্ধার করেন। খবর পেয়ে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ রাতেই নিহতের লাশ উদ্ধার করে । পরে অভিযান চালিয়ে নিহতের পুত্রবধূ সেলিনা আক্তার, নাতি আশিক ও নাতবৌ চাঁদনিকে ময়মনসিংহ থেকে আটক করে ভালুকা থানায় নিয়ে আসে।

ভালুকা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. শাহ কামাল আকন্দ জানান, নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে। মামলা প্রক্রিয়াধীন।#



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

ভালুকা বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই