তারিখ : ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

৫ বছর ধরে সমিতি শুধু সদস্য’র টাকা নিচ্ছে দিচ্ছেনা ঋণ

৫ বছর ধরে সমিতি শুধু সদস্য’র টাকা নিচ্ছে দিচ্ছেনা ঋণ ও সঞ্চয়ের মুনাফা
[ভালুকা ডট কম : ১৪ মার্চ]
সরকারি রেজিষ্ট্রেশনকৃত একটি সঞ্চয় ও ঋনদান সমিতি পাঁচ বছর ধরে শুধু সদস্যদের কাছ থেকে টাকা নিয়েই যাচ্ছে বিপরীতে দিচ্ছেনা ঋণ এবং সঞ্চয়ের মুনাফা।বিভিন্ন মেয়াদে ডিপিএস’র মেয়াদ শেষ হলেও প্রতিশ্রুতি মোতাবেক সে টাকা না দিয়ে নানা অযুহাতে সময় ক্ষেপন করছে সমিতি কর্তৃপক্ষ।

গ্রামের সহজ সরল মানুষের সাথে এভাবে প্রতারনার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে লক্ষ লক্ষ টাকা। সংশ্লিষ্ট প্রশাসন এক্ষেত্রে উদাসীন ভূমিকা পালন করছেন। ময়মনসিংহের গৌরীপুর উপজেলার শ্যামগঞ্জ এলাকায় অবস্থিত এ সমিতিটির নাম হচ্ছে বন্ধু উন্নয়ন সঞ্চয় ও ঋণদান সমবায় সমিতি লিঃ। যা ২০১২ ইং সনে সমবায় অধিদপ্তর কর্তৃক রেজিষ্ট্রেশন লাভ করে (রেজিঃ নং-ম-০৯৮/১২)।

জানা গেছে প্রতিষ্ঠার পর থেকে শ্যামগঞ্জে হেড অফিসসহ আশপাশ এলাকায় বেশ কয়েকটি শাখা ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তাদের কার্যক্রম শুরু করে। সমিতি গঠন করে টানা পাঁচ বছর ধরে ঋনদানের প্রতিশ্রুতি ও নানা প্রলোভন দেখিয়ে সহস্্রাধিক সদস্যদের কাছ থেকে সঞ্চয় ও বিভিন্ন মেয়াদে বীমা অংকের টাকা আদায় করছে সমিতির কর্তৃপক্ষ। কিন্তু পাঁচ বছর অতিবাহিত হলেও এ সমিতির সদস্যদের মাঝে ঋন বিতরন অথবা পাঁচ বছরে জমাকৃত সঞ্চয়ের বিপরীতে কোন মুনাফা প্রদান করা হয়নি। এদিকে সদস্যদের বীমা অংকের মেয়াদ শেষ হলেও বীমা দাবি নিষ্পত্তি নিয়ে বিভিন্ন টালবাহনার মাধ্যমে সময় ক্ষেপন করা হচ্ছে। ঋন তো দুরের কথা সঞ্চয় ও বীমা অংকের টাকা না পেয়ে সমিতির সদস্যরা বর্তমানে রয়েছেন দুশ্চিন্তায় এবং তাদের মাঝে বিরাজ করছে টাকা না পাওয়ার আতংক।

ভুক্তভোগী কান্দুলিয়া গ্রামের এ সমিতির সদস্য নুরুনাহার, জ্যোতি রানী, রুমেছা খাতুন, জায়েদা খাতুন, সাবিনা, সেলিনা, নিজাম উদ্দিন, বিলকিছ বেগম, হাওয়া খাতুন, আয়েশা খাতুন, তানজিলা আক্তারসহ আরো অনেকেই তাদের টাকা ফেরত পেতে ও সমিতির নানা অনিয়ম-দুর্নীতি, অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় জড়িদতের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

সমিতির নির্বাহী পরিচালক শফিকুল ইসলাম (৩০) এ উপজেলার মেছিডেঙ্গী গ্রামের আবু সাঈদের পুত্র। এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের জানান, প্রতিষ্ঠার পর থেকে তিনটি ব্রাঞ্চের মাধ্যমে তাদের সমিতির কার্যক্রম শুরু করেছিলেন। ইতিমধ্যে দুটি ব্রাঞ্চের কার্যক্রম স্থগিত করে সদস্যদের দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়েছে। বর্তমানে শ্যামগঞ্জে হেড অফিসের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। এ ব্রাঞ্চের সদস্য সংখ্যা প্রায় ৫ শতাধিক। তাদের সকল দেনা পাওনা মিটিয়ে উক্ত ব্রাঞ্চের কার্যক্রমও তারা বন্ধ করে দিবেন। এক্ষেত্রে সমিতির সদস্যদের টাকা পরিশোধের জন্য তাদের কাছে সময় চাওয়া হয়েছে।

গৌরীপুর উপজেলা সমবায় কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন জানান, উল্লেখিত সমিতির কার্যক্রম সন্তোষজনক নয়। তাই এ সমিতির নামে রেজিষ্ট্রেশন বাতিলের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। #



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

অনুসন্ধানী প্রতিবেদন বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৭ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই