তারিখ : ২৯ মার্চ ২০২৪, শুক্রবার

সংবাদ শিরোনাম

বিস্তারিত বিষয়

আমার এলোমেলো ভাবনা তৃতীয় পর্ব-হাজী সানি

আমার এলোমেলো ভাবনা তৃতীয় পর্ব-হাজী সানি
[ভালুকা ডট কম : ০৩ মার্চ]
দিগন্ত জুড়ে নীলিমার মাঝে এক-ই আকাশে গোধুলী সাথে হারানো সময় গুলো করছে পরিহাস, স্তব্ধ নিঃশ্বাস ঠেলে ঠেলে বারেবার হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে আসি আমি ফিরে অনন্ত পতন অনন্ত সময় একই ভাঙ্গনের ঢেউয়ে তবু যেতে চায় স্বপ্নেরা আলোয় সকল আঁধার ভেঙ্গে নীলিমার মাঝে এক-ই আকাশে গোধুলী সাথে হারানো হিয়ার নিকুঞ্জ পথে গোধুলী রাঙিয়ে ধরণী ঘন আবিরের রাগেসূর্যাস্তের দিকে হারানো সময় গুলো পরিহাস করে কৃষ্ণচূড়া শাল পিয়ালের ঘহিন থেকে রবির কিরণ বলছে আমায় ডেকে।

**দান” বস্ত্রদান,অর্থদান,রক্তদান, দান এক মহান নাম আমার মতে সমাজের সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে নিজেকে মুক্তির এক নাম দান ,দান নিজের উপর নিজের কৃপাদুষ্টির এক নাম । গরিব অসহায়দের মাঝে শুধুমাত্র অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দেয়ার নামই দান নয়, প্রতিটি ভালো কাজই একটি দান। হাদিসে এসেছে, প্রত্যেক সৎকাজই একটি দান। ইসলাম সবচে সহজ দান সালাম প্রদান করা সালাম প্রদান করার মাধ্যমে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ,ভালোবাসা বৃদ্ধি পায়, শীতার্ত কে শীতবস্ত্র দিলে তার জীবনের উষ্ণতা বৃদ্ধি পায়,একজনের দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন আলো বৃদ্ধি পায়, শুধুমাত্র অর্থ সম্পদ বিলিয়ে দেয়ায় দান নয়। তবে এই ভাল কাজটি করতে ইসলামে বলা হয়েছে এমন ভাবে দান কর যে, ডান হাতে দান করলে বাম হাত যেন না দেখে। তবে আমাদের প্রচলিত সমাজে আজ কাল দেখা যায় নামে সাথে বিশেষ বিশেষণ বিশিষ্ট দানবীর,এক দুই তিন বা পঞ্চাশ প্লাস রক্তদাতা,শীতার্তদের পঞ্চাশ হাজার প্লাস কম্বল দাতা কিন্তু এটা কেন ?

আমার জ্ঞান এইসব ব্যাপারে খুব কম, কিন্তু আমি সরল মনে যা বুঝছি (যেহেতু আমি মুসলিম) ইসলাম বলেছে তোমরা খুব গোপনে দান করো। আর এক হাতে দান করলে অপর হাত যেন না জানে এর অর্থ হচ্ছে আপনার দান যেন লোক দেখানো দানে পরিনিত না হয়। ইসলাম লোক দেখানো কোন ইবাদতই পছন্দ করে না আর দানটাও ইসলামে একটা ইবাদত। আর সেই ইবাদত যদি হয় শুধু আল্লাহর জন্য তবে আল্লাহ গোপনীয়তাকে পছন্দ করেন।

অনেকে বলেন অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য আমি প্রকাশ্যে দান করি প্রচার করি এই বিষয়ে তারা কিছু যুক্তিও হয়ত দিতে পারেন একটা হাদীসের মাধ্যমে যে "অন্যকে উৎসাহিত করার জন্য প্রকাশ্যে দান করলে এবং কেউ উৎসাহিত হয়ে দান করলে উৎসাহদানকারী ব্যক্তি অন্যদের দানের সমপরিমাণ ছওয়াব পাবেন" তবে আমার কাছে সেই সব ব্যক্তির এই উক্তিটি নেহায়েত অযুক্তিক মনে হয় কারন ইসলামের মৌলিক আক্বীদা-আমল থেকে সম্পূর্ণভাবে বিচ্যুত হয়ে পড়াদের আক্বীদা রক্ষায় উৎসাহিত করার জন্য নামাজ রোজা করার জন্য কত বার প্রকাশ্যে প্রচার করেছি ? যেখানে আল্লাহ তাআলা ইরশাদ করেন হে মুমিনগণ, তোমাদের উপর নামাজ রোজা ফরজ করা হয়েছে । ভেবে দেখার বিষয় নয় কি ?

দানের গণনা করে সংখ্যার ইতিহাসে নিজেকে অনেক বড় কিছু মনে করার কিছু নেই আমার দানকৃত রক্ত আরেকজন মানুষের জীবন বাঁচাবে এটা মনে করে অনেক বড় কিছু ভাববার আগে আমার দেখে নেয়া দরকার আসলে রক্তদানে আমি কি পেলাম “উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ রক্তদানের উপকারিতায় বলা হয়েছে কেন আপনি রক্তদান করবেন [১] রক্তদান স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত উপকারী। রক্তদান করার সঙ্গে সঙ্গে শরীরের মধ্যে অবস্থিত ‘বোন ম্যারো’ নতুন কণিকা তৈরির জন্য উদ্দীপ্ত হয় এবং রক্তদানের ২ সপ্তাহের মধ্যে নতুন রক্তকণিকার জন্ম হয়ে ঘাটতি পূরণ হয়ে যায়। বছরে ৩ বার রক্তদান আপনার শরীরে লোহিত কণিকাগুলোর প্রাণবন্ততা বাড়িয়ে তোলার সাথে সাথে নতুন কণিকা তৈরির হার বাড়িয়ে দেয়। উল্লেখ্য রক্তদান করার মাত্র ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই দেহে রক্তের পরিমাণ স্বাভাবিক হয়ে যায়। [২] নিয়মিত রক্তদান করলে হৃদরোগ ও হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি অনেকটাই কমে যায়। [৩] আরেক গবেষণায় দেখা যায়, যারা বছরে দুই বার রক্ত দেয়, অন্যদের তুলনায় তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি কম থাকে। বিশেষ করে ফুসফুস, লিভার, কোলন, পাকস্থলী ও গলার ক্যান্সারের ঝুঁকি নিয়মিত রক্তদাতাদের ক্ষেত্রে অনেক কম পরিলক্ষিত হয়েছে। চার বছর ধরে ১২০০ লোকের ওপর এ গবেষণা চালানো হয়েছিলো। [৪] নিয়মিত স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজের শরীরে বড় কোনো রোগ আছে কিনা তা বিনা খরচে জানা যায়। যেমন : হেপাটাইটিস-বি, হেপাটাইটিস-সি, সিফিলিস, এইচআইভি (এইডস) ইত্যাদি। [৫] প্রতি পাইন্ট (এক গ্যালনের আট ভাগের এক ভাগ) রক্ত দিলে ৬৫০ ক্যালরি করে শক্তি খরচ হয়। অর্থাৎ ওজন কমানোর ক্ষেত্রেও এটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। [৬] রক্তদান ধর্মীয় দিক থেকে অত্যন্ত পুণ্যের বা সওয়াবের কাজ। একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ। পবিত্র কোরআনের সূরা মায়েদার ৩২ নং আয়াতে উল্লেখ আছে, ‘একজন মানুষের জীবন বাঁচানো সমগ্র মানব জাতির জীবন বাঁচানোর মতো মহান কাজ।” তার মানে আমি স্বেচ্ছায় রক্তদানের মাধ্যমে নিজে নিজের উপর কৃপা করছি। -(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- January 5 at 10:10am • 2018 •

**নারীর মর্যাদা ও সম্মান পরিপূর্ণভাবে রক্ষায় এগিয়ে আসুন নিজের হীন স্বার্থপরতা নগ্নতাকে লজ্জার চাদরে ঢেকে রাখুন,একজন নারী সে হয়তো আজ কারো কন্যা কারো বোন কাল কারো স্ত্রী পরশু হয়তোবা কারো মা। স্মরণ করেন আজ আপনি ও কোন মায়ের সন্তান আর আপনার মাও এক জন নারী । মা আপনিও পর্দায় নিজেকে রাখুন যাতে আপনার বাবা,ভাই,ছেলে আপনাকে দেখে অন্য নারীকে সম্মান করতে শিখে । -(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- January 7 at 07:18am • 2018 •

**আমি প্রবাসী, আমি স্বপ্ন বিলাসী,আমি আজব মানুষ কি?একাকিত্ব ভালবাসি,অবাক হই নিজেই -কষ্ট পেয়েও হাসি, বাস্তবতা কম বুঝি শুধু মনের কথা শুনি স্বপ্নের মাঝে পথ খুজি স্বপ্ন বিলাসী এই আমি । সংসারে স্বপ্ন বিলাসী কাঁদে সবচে বেশি তাই হয়ত স্বপ্নকে এত বেশি ভালবাসি । প্রবাসীর জীবন হয়ত অনেকটাই স্বপ্ন বিলাসী,সৃষ্টিশীলদের ভাষায় বলতে গেলে দেয়ালহীন কারাগারের নামই হয়ত প্রবাস। যেখানে প্রতিনিয়ত স্বপ্নরা বাসাবাঁধে কিন্তু পূরণ হবার জন্য নিদ্রাটুকু আসেনা,রাতে আস্তে আস্তে স্বপ্নরা ভীড় করে মনের জানালায়,রাতের গভীরতার সাথে সাথে সব স্বপ্ন এলোমেলো হয়ে চলে যায় নির্ঘুম রাতের অসংখ্য স্মৃতির ভীড়ে। আমি প্রবাসী, আমি স্বপ্ন বিলাসী,আমি আজব মানুষ কি?🤔-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- January 9 at 11:30am • 2018 •

**নিঃসঙ্গ প্রহর পাড়ি দিতে দিতে এই অবেলায় আনমনে গন্তব্য-হীন এক মুসাফিরের বেশে পাড়ি দিচ্ছি বহুদূরের পথ সবকিছু নিতান্তই প্রণহীন কালের গতিময়তা কঠোর ,সেই কবে হাত ছেড়ে পথ আলাদা করে চলা আজ এই নিঃসঙ্গ অবেলায় গন্তব্য-হীন যাত্রাটা যেন একটু বেশিই বেমানান মনে হচ্ছে । পথ যদি আলাদা নাই হতো,হেঁটে হেঁটে এই অবেলায় একটু জিরিয়ে নিতাম,হয়তো তোমার ঘাড়ে মাথা রেখে একটু অনুভব করতাম শীতলতা,কোন কিছুই আজ আর হলনা অবশেষে নিজেকে বড্ড বেশি ক্লান্ত মনে হচ্ছে। এই পড়ন্ত বিকেলে গোধূলীর শেষ সীমানায় গন্তব্য-হীন মুসাফিরের বেশে স্তব্ধ,নিঃশব্দ ঘুমন্ত মরুর উপর চলেছি যেন আমি রাজা, স্তব্ধ,নিঃশব্দ ঘুমন্ত মরু আমার রাজত্ব আর এই একাকীত্ব আমার প্রজা। সেই কবে পথ চলা শুরু করি তা এখন আর মনে নেই এই পথের শুরু আর শেষ জানা নেই ,শুধু জানি চলতে হবে ব্যস্ততায় বিলীন হতে মানা তাই চলতে হবে থামা নিষেধ সাত সমুদ্র পারি দিয়ে হলও জানতে হবে কেমন আছো তুমি? দেখতে হবে কালো চুলে এখনও কি বাধো বেনি? কিন্তু এখন বার বার খুব বেশি জানতে ইচ্ছে করছে এই অবেলা শেষের সূর্যরশ্মি কি এখনও তোমার গন্তব্যে ঝলমল করছে ? সে রশ্মিতে এখনও কি সময় কাটাচ্ছ? নাকি অন্য কিছু জানতে হবে তাই চলতে হবে থামা নিষেধ ।-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- January 14 at 05:10am • 2018 •

**যাকে ভালো লাগে যাকে ভালবাসি যাকে পছন্দ করি সে হৃদয়ে জীবনের সর্বাঙ্গে আর যাকে ভালো লাগে না পছন্দ হয় না সে চিন্তাতেই নেই আর যে চিন্তাতেই নেই সে সে কোথাও নেই - না বন্ধুত্বতাই না শত্রুতাই ।😍-(হাজী সানি) Facebook Timeline Post- January 21 at 10:30am • 2018 •

**"বিরক্তি" শব্দটির অর্থ বাংলা অভিধান যে ভাবে প্রকাশ করেছে তা হয়ত নিতান্তই কম, সত্যি কথা বলতে কি বিরক্তি এর সঠিক ব্যাখ্যা শুধুমাত্র ভুক্তভোগীরই জানা । অসম্ভব বিরক্তি নিয়ে আজ কিছু লিখতে বসেছি, লিখাটা সম্পূর্ণ সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইড ফেসবুকের বন্ধু তালিকায় থাকা লোক গুলোর অনাকাঙ্খিত ব্যবাহার নিয়ে যা এমন এমন সময় এত বেশি বিরক্তিকর হয়ে উঠে, শুধু তা নিয়ে । বতর্মানে বহুল প্রচলিত শব্দ 'ফেসবুক' আবাল-বৃদ্ধা-বনিতা কম বেশি সবার নামেই এক বা একাধিক একাউন্ট রয়েছে এই সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইটটিতে আর এরই বদৌলতে আজ এক জন বন্ধু আর চিনপরিচিতের মাঝে কোন পার্থক্যই যেন নেই ,বন্ধুত্বের মানেটাই গেছে পালটে শুধু সংখ্যা বাড়ানোর নাম হয়ে গেছে আজ বন্ধুত্ব ! বন্ধু যার সাথে আলাপচারিতায় মেতে উঠতে ভনিতা লাগে না, চেনাজানা লাগে, সান্নিধ্য উপভোগ্য লাগে যে প্রতিদিন না হোক অন্তত ভাল মন্দ দিন গুলোতে খবর রাখে সেই না বন্ধু। আজ ফেসবুকে কতশত এসে জুড়ে যাচ্ছে বন্ধু তালিকায়, যাদের সম্পর্কে দু'দন্ড জানা হচ্ছে না, অনেকেই জানেনা কে কোথায় আছে কিন্তু বন্ধু তালিকায় তাদের নাম জ্বলজ্বল করে!আমার বুঝেই আসেনে একজন ব্যক্তির হাজারও বন্ধু হয় কি করে!

প্রশ্ন হচ্ছে এর মধ্যে "বিরক্তি" শব্দটি আসল কোথা থেকে ? ফেসবুকের সবচেয়ে বড় বিরক্তির নাম ট্যাগ,গ্রুপে ফ্রেন্ড অ্যাড,লাইক রিকোয়েস্ট মেসেজ। সারাদিন কাজ শেষে বা বলতে পারেন অবসর সময়ে যখনই ফেসবুকে আসি ১৫/২০ মিনিট চলে যায় অনাকাঙ্খিত ট্যাগ,গ্রুপে পোষ্ট সরাতে সরাতে ! কেন এমনটি ? কারন কিছু অনাকাঙ্খিত ব্যক্তিকে বন্ধু তালিকায় রাখায় তাই নিজের সময় বাঁচাতে আনফ্রেন্ড করে ব্লক করে কিছুটা শান্তি পেলেও আর এক বিরক্তি বন্ধুর অনাকাঙ্খিত পোষ্ট লাইক ! ভদ্র লোক এমন এমন ছবিতে বা গ্রুপে মন্তব্য করছেন ( হয়ত উনি একটা খারাপ ছবিতে মন্তব্য করছেন "এমন পোষ্ট ভাল না এটা পাপ কাজ" কিন্তু কেন ) উনার ঐ মন্তব্যের জন্য আমাকেউ ঐ পোষ্টটি দেখতে হচ্ছে কারন উনি আমার বন্ধু তালিকায় । সোশ্যাল নেটওয়ার্কিং সাইড যারা ব্যবহার করে তারা সবাই কম বেশি ভাল মন্দ বুঝে তাই যে খারাপ পোষ্ট দিল তাকে জ্ঞণ দিতে মন্তব্য করাটা তার পোষ্টিটিকে প্রচার করা এর বেশি কিছু না । যদি কারও কোন পোষ্ট ভাল না লাগে তাকে ব্লক করে দিন যাতে আপনার বন্ধু তালিকায় থাকা অন্য বন্ধু গুলো আপনার জন্য ঐ অনাকাঙ্খিত পোষ্টটি না দেখতে পারে ।

অনাকাঙ্খিত লোক বন্ধু তালিকায় থাকায় কাঙ্খিত লোকের পোষ্টও অনেক সময় চোখে পরেনা । শুধু কাঙ্খিত ব্যক্তি থাকবে বন্ধু তালিকায় যাদের সাথে প্রতিদিন না হোক অন্তত ভাল মন্দ দিন গুলোতে কথা হবে তাই বন্ধু তালিকা হাজার থেকে চলে আসতেছে শ'তে আবার এমন অনাকাঙ্খিত দের ভিড়ে অনেক কাঙ্খিত হয়তো দূরে চলে গেছেন বন্ধু তালিকার বাহিরে যদি এমন হয়ে থাকে তার জন্য দু:খিত । যদি বিষয়টি নিতান্তই ভুল মনে করে উদার হয়ে ফেসবুক ইনবক্সে প্রশ্ন করেন তবে আমি আমার ভুলটা শুধরে নেব । ধন্যবাদ-(হাজী সানি)
Facebook Timeline Post- January 27 at 08:19am • 2018 •

**সকাল বেলা ফেসবুকে এসেই ভালুকার এক ব্যক্তির একটি পোস্ট চোখে পড়ল যা বেশ কয়জন নিজ টাইমলাইনে শেয়ার করেছে যেখানে বেশ কিছু লাইকও দেখতে পেলাম পোষ্টটি ছিল -[ ইং-২৭/১/২০১৮ তারিখ বিকাল অনুমান ০৫:১৫ ঘটিকার সময় ঢাকাস্থ মগবাজার নিবাসী জনাব মোঃ আশরাফুল আলম খান এর সাড়ে তিন বছরের একমাত্র কন্যা তাহিয়া আলমকে আসামী মোঃ ওমর ফারুক(২১) অপহরন করে ৫০,০০,০০০/- টাকা মুক্তিপন দাবী করেন। অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মামুন-অর-রশিদ, পিপিএম সাহেবের সার্বিক দিক নির্দেশনায় ভালুকা মডেল থানা পুলিশ ও ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ীর এএসআই উজ্জল হোসেন যৌথ অভিযানে শিশু বাচ্চাকে উদ্ধার করে বিধি মোতাবেক তার অভিবাবকের নিকট ফিরিয়ে দেওয়া হয়। ]

পোস্টের সব লেখা নিয়ে কিছু বলবনা কারন শিশুটি অপহরণ হয়েছে এবং ভালুকাতে উদ্ধার হয়েছে তা আমরা আজ সবাই জানি কারন গতকাল এই সংবাদটি ছিল টপ অফ দা ভালুকা আমার প্রশ্ন ছবিতে লাল আন্ডার লাইন করা ঐ বাক্যটির প্রতি "অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মামুন-অর-রশিদ, পিপিএম সাহেবের সার্বিক দিক নির্দেশনায়" আমার মনে হচ্ছে যে ব্যক্তি এই পোষ্টটি করেছেন তার চে বড় শিক্ষিত চাটুকার দ্বিতীয়টি হতে পারেনা (কারন ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ ফাড়ীর এএসআই এর বক্তব্য ছিল আমরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহা সড়কে টহল দেয়ার সময় আমাদের ফাঁড়ির কাছে একটি লেগুনার ভিতরে একটি শিশুসহ একজন লোককে দীর্ঘক্ষণ বসে থাকায় সন্দেহ হয়। পরে তাঁকে ফাড়িতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে এক পর্যায়ে ফারুক অপহরণের বিষয়টি স্বীকার করে। ফারুক তার জিজ্ঞাসাবাদে বলেন, তার বাসার মালিকের মেয়েকে কুলে করে কৌশলে নিয়ে আসে। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল থেকে হালুয়াঘাটের একটি বাসে ওঠে। রাস্তায় তাহিয়ান তার পড়নের প্যান্টের মাঝে পায়খানা-প্রস্রাব করে দিলে দুর্গন্ধের কারণে ভরাডোবা এসে নেমে পড়ে। )।

প্রশ্ন হচ্ছে যেখানে জিজ্ঞাসাবাদ করার পূর্বে ভরাডোবা হাইওয়ে পুলিশ জানতই না অপহরণের বিষয়টি তবে "অফিসার ইনচার্জ জনাব মোঃ মামুন-অর-রশিদ, পিপিএম সাহেবের সার্বিক দিক নির্দেশনায়" এই কাজটি হয় কি করে ? । তবে আমি কেন সবাই গত কাল ভালুকা পুলিশের এই কাজ কে অনেক অনেক অভিনন্দন জানিয়েছে । মোঃ মামুন-অর-রশিদ সাহেব হয়ত জানেনই না এমন ভাবে কেউ তাকে প্রশ্নবিদ্ধ করেছে ,কারন যে টুকু আমি ব্যক্তিগত ভাবে মোঃ মামুন-অর-রশিদ সাহেব কে জানতে পেরেছি উনি অনেক বড় মনের একজন মানুষই আমার কাছে মনে হয়েছে কারন কখনও কখনও সংবাদের প্রয়োজনে উনাকে অনেক বার ফোন করে বিরক্ত করেছি কিন্তু কোন সময় উনার ভাষায় আমি বিরক্তি অনুভব করিনি সব সময় যথেষ্ট নম্র ভদ্র ভাবে যথেষ্ট সম্মান পূর্বক কথাবলেছেন আমার কাছে কখনও মনে হয়নি উনার মত ব্যক্তিত্ব চাটুকারিতার আকাঙ্ক্ষা কি । তাই বলব জ্বনাব পোস্ট কর্তা অতি উৎসাহী হয়ে কিছু করা ঠিক না তা হিতের বিপরীত হতে পারে, হয়ত আপনার অজান্তেই আপনার চাটুকারিতার জন্য প্রিয় ব্যক্তিটি বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়তে পারে তাই চাটুকারিতা,তোষামোদী সর্ব ক্ষেত্রে প্রযোজ্য নয়। ধন্যবাদ-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- January 29 at 10:00am •2018 •

**ভাষার মাস শুরু হলো আজ, জাতির বড় বড় মাথা পুরো মাসজুড়ে প্রচার করবে তাদের ভালোবাসা ভাষার জন্য যাঁরা দিয়েছিলেন প্রান তাঁদের নামে আর আমরা সাধারনরা একদিন গায়ব আমার ভাইয়ের রক্তে রাঙানো একুশে ফেব্রুয়ারী আমি কি ভুলিতে পারি তার পরই আবার ভুলে যাব ১১ মাসের জন্য । হয়ত আজও অনেকে ফেসবুক স্ট্যাটাসে লিখেছেন অনেক কিছু হয়ত অনেকে বাংলা বাক্যটি লিখেছেন ইংরেজী অক্ষরে "amar sonar bangla ami tomai valobashi" যেন বাংলা অক্ষরে লিখতে লজ্জা হচ্ছে । যাই হোক তারপরও আমরা একদিন অন্তত ভাষার গান গায় এটাই বা কম কি ? ভাষার এই মাসে সকল শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি ।-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post- February 1 at 10:10am • 2018 •

**প্রবাদ আছে কয়েনের এপিঠ ওপিঠ মানে হচ্ছে যে দিক দিয়ে আর যে ভাবেই দেখা হোক না কেন মূল্যের কোন পরিবর্তন হয় না কিন্তু বাস্তব অনেক ক্ষেত্রেই অনেক কিছুতেই সৃষ্টির সাথে দৃষ্টির পরিবর্তন ঘটে। ভালুকা উপজেলার হবিরবাড়ী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান তোফায়েল আহাম্মেদ বাঁচ্চু .ভালুকা উপজেলার ভরাডোবা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহ আলম তরফদার দুজনেই বর্তমান ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের আর্শিবাদ পুষ্ট হয়ে প্রথম বারের মত চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন আর বয়সে দুজনেই তরুণ এবং দুজনের ইউনিয়নেই শিল্পাঞ্চল ক্ষত ইউনিয়ন ।

চেয়ারম্যান বাঁচ্চুর হবিরবাড়ী ইউনিয়নের পাড়াগাঁও মৌজার এক মাত্র মিঠে পানি প্রবাহের খালটি লাউতি খাল যা গত এক/দুই দশক ধরে বিভিন্ন শিল্পকারখানার বর্জ্য এই খালটি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে বর্তমানে কতিপয় ফ্যাক্টরী খালটি প্রায় দখলে নিয়ে স্থাপনা নির্মাণ করে ২০ ফুট প্রস্থ খালটি এক ফুট করে রেখেছিল যা এই ইউনিয়নের গত অনেক রথি মহারথি চেয়ারম্যানও উদ্ধার করতে পারেনি তা এই তরুন চেয়ারম্যান গত কয়দিন আগে থেকে উদ্ধার করে স্বেচ্চাশ্রম ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়ণে খাল খনন কাজ শুরু করেছে । হয়ত এর কাজ সম্পূর্ণ হলে নিসন্দেহে এলাকাবাসি সুফল পাবে।

চেয়ারম্যান শাহ আলমের ভরাডোবা এলাকায় প্যাট্টিয়ট স্পিনিং মিল নামের একটি ফ্যাক্টরীর রাসায়নিক মিশ্রিত তুলারবর্জ্যে ঘারাটেক ও তেরার টেক এলাকার বসত বাড়ির লোকজন, ফলজ গাছ,গাছ পালা,বোরো ধান ক্ষেতসহ ফসলী জমি নষ্টসহ জনস্বাস্থ্য হুমকির মুখে পড়ে লোক জন বাসা বাড়ি ছেড়ে অন্যত্র বসবাস করতে বাধ্য হচ্ছে । এলাকার পরিবেশ এতটাই দূষণসহ জনস্বাস্থ্য হুমকির সম্মুখিন এতে এলাকাবাসীর বিক্ষোভ প্রকাশ করে মানববন্ধন কর্মসূচীও পালন করেছে। আর মানব বন্ধন কারীদেরকে কোম্পানির স্থানীয় দালল নানা ভাবে হুমকিও দিচ্ছে। স্থানীয় ভূক্তভোগিরা সর্ব শেষ নিরোপায় হয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর অভিযোগও দিয়েছেন । এলাকার পরিবেশ কতটা খারাপ তা সবুজ গাছপালার দিকে তাকালেই যে কোন সুস্থ মানুষ ধারনা করতে পারবে বলে এলাকাবাসী জানাচ্ছেন ।

আমার প্রশ্ন হচ্ছে চেয়ারম্যান বাঁচ্চু যদি শত শত শিল্পকারখানা,ফ্যাক্টরীর দখল থেকে খাল উদ্ধার করে স্বেচ্চাশ্রম ও ইউনিয়ন পরিষদের অর্থায়ণে খাল খনন কাজ শুরু করতে পারে তবে চেয়ারম্যান শাহ আলম কেন একটি মাত্র ফ্যাক্টরী বন্ধরেখে তা ঠিক করিয়ে চালুকরার ব্যবস্থা করে এলাকার হাজার হাজার মানুষকে কেন রক্ষা করছেন না ? না কি ভরাডোবা পরিষদের মেম্বার আমিরুল ইসলামের আনিত অভিযোগ সত্য ?যে চেয়ারম্যান শাহ আলম অনিয়ম, দুর্নীতি ও স্বেচ্চাচারিতা করছেন তার ইউনিয়নে । ধন্যবাদ -(হাজি সানি)Facebook Timeline Post-February 5 at 11:29am •• 2018 •

**আমি আজ প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি এই পোস্টটি করার জন্য কারন পোস্টের ভিতরের ছবিটি কোন ভদ্র মানসিকতার ব্যক্তি প্রকাশ করতে পারেনা তার জন্য ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি, গত কয়দিন আগে আমার দৃষ্টিতে পড়ে ফেইসবুকের একটি পোস্ট যাতে পোস্ট কর্তা নিজেকে স্বঘোষিত ভালুকার তথাকথিত একজন ছাত্রলীগ নেতা বলে দাবি করে পোস্টটি করে যেখানে তিনি আওয়ামীলীগ বা আওয়ামীলীগের ছাত্র সংগঠন ছাত্রলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্যদের (তার পোস্ট কৃত ছবিটির ভাষায়) F*** you বলেন । তখন আমি আমার স্বভাব সুলভ চরিত্রে তাকে প্রশ্ন করেছিলাম (কারন আমার কাছে পোস্টটি গ্রহন যোগ্য মনে হয়নি) জ্বনাব স্ট্যাটাসের সাথে যে ছবিটা পোস্ট করেছেন তার মানে বুঝে পোস্ট করেছেন ? ইঙ্গিত কাকে করলেন পার্টি প্রধান কে ? হাসিনা মুজিবের ছবি অবমাননা করলে মামলা হয় জেল জরিমানা হয়, এর জন্য আপনার কি হবে বুঝে পোস্ট করেছেনত নাকি ? তার উত্তরে তিনি নেতার চরিত্রে উত্তরে আমাকেই প্রশ্ন করে দিলেন ছাত্রলীগের সাথে আওয়ামীলীগের সম্পর্ক কি? মহা পন্ডিত হলে ত সমস্যা! কি আর করা নেতাজির ভাষণ তাই চোপচাপ বলে চলে আসা "আমি রাজনীতি বুঝিনা তাই জানা ছিলনা ছাত্রলীগ আওয়ামীলীগ না । তবে এত টুকু বুঝি সংসারে সন্তান ভুল করলে নালিশ বাবা মার কাছেই দিতে হয় আত্নীয় সজনের কাছে নয় যদি সেই সন্তানের পিতৃপরিচয় সংকট না থাকে । এখন আপনি চিন্তা করেন আপনার ছাত্রলীগের পিতৃপরিচয় কি । আপনার স্ট্যাটাস নিয়ে আমার কোন প্রকার মন্তব্য নেই আমার কথা শুধু আপনার স্ট্যাটাসের সাথের ছবি নিয়ে । যার অর্থটা আমার কাছে মনে হয়নি গ্রহন যোগ্য ।

আমরা পাশ্চাত্যের কোন দেশে বসবাস করি না আমরা বাঙ্গালী আমাদের নিজস্ব একটি সংস্কৃতি আছে পৃথিবীর ইতিহাসে যা আমরা নিজেদের মধ্যে বহন করি, প্রবাদ আছে ব্যবহার বংশের পরিচয় বহন করে শিক্ষিত পরিবারের সন্তান কখনো জনসম্মুখে কাউকে গালি দিতে পারেনা কারো সম্মানহানি করার চেষ্টা করেনা ।

আলবার্ট আইনস্টাইন বলেছিলেন "এই মহাবিশ্বে আমার কাছে ২ টা জিনিসই অসীম মনে হয় একটা হলো আমাদের এই মহাবিশ্ব আরেকটা মানুষের আহাম্মকি তবে, প্রথমটার বিষয়ে আমি নিশ্চিত না ! এই উক্তিটা যতবার দেখি কেন জানি এত মজা লাগে আর মনে হয় আসলেই, প্রমান ছাড়াই এই একটা বিষয় কতখানি সত্যি হতে পারে তা আজকের চারপাশের জগতটাকে একটু খুটিয়ে দেখলেই বোঝা যায় যে সত্যি শুধু কাগজ কলমের শিক্ষা ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশ করে জীবনকে গড়ে তোলতে পারেনা তার জন্য পারিবারিক শিক্ষার একটা বিশেষ দরকার থাকে ।

উইকিপিডিয়া,মুক্ত বিশ্বকোষ শিক্ষার সংজ্ঞায় বলেছেন -শিক্ষা প্রক্রিয়ায় কোন ব্যক্তির অন্তর্নিহিত গুণাবলীর পূর্ণ বিকাশের সাধারণ অর্থ শিক্ষা। এরিস্টটলের ভাষায় -সুস্থ দেহে সুস্থ মন তৈরি করাই হল শিক্ষা। তাই আমার মনে হয় সুস্থ দেহে সুস্থ মন অন্তর্নিহিত গুণাবলী পূর্ণ বিকাশের প্রধান শিক্ষালয় শিশুকাল থেকেই পরিবার । পরিবার হলো শিশুদের সামাজিকভাবে গড়ে তোলার হাতে খড়ির পাঠশালা, একটি মৌল প্রতিষ্ঠান হিসেবে পরিবার শিশুকে সুন্দর অভ্যাস গঠন, তাদের আচার-আচরণে নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধ তৈরী করার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। নিজ পরিবারের সদস্য অর্থাৎ বাবা-মা, ভাই-বোন শিশুর ব্যবহার ও আচরণ কেমন হবে তা পারিবারিক পরিবেশেই শিশুরা শিখে থাকে যা পরবর্তিতে স্কুল কলেজে গিয়ে শুধু অক্ষর জ্ঞাণ নিয়ে নিজের দৈহিক বৃদ্ধি ঘটানো হয় এর বেশি কিছুনা, ব্যবহার ও আচরণ যা পরিবারের সদস্য থেকে এসেছে তাই বিদ্যমান থাকে তাই প্রবাদ বলে ব্যবহারই বংশের পরিচয় ।

নিজের প্রয়োজনে পৃথিবীর শেষ ব্যক্তিটিকে যদি মেরে ফেলি, নিজের প্রয়োজনে পৃথিবীর শেষ মাছটি যদি ধরে ফেলি, নিজের প্রয়োজনে শেষ গাছটি যদি কেটে ফেলি, নিজের প্রয়োজনে শেষ নদীটি যদি দূষিত করে ফেলি তবে থাকবেনা কিছুই শুধু থাকব আমি আর আমি আমরা আমাদেও বলে থাকবেনা কিছুই। তাই রবী ঠাকুরের ভাষায় বলব “শিক্ষা তাই যা আমাদের কেবল তথ্য পরিবেশনই করে না বিশ্বসত্তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে আমাদের জীবনকে গড়ে তোলে”। -ধন্যবাদ (হাজী সানি)Facebook Timeline Post-February 9 at 9:07am• 2018 •

**সবকিছু কেমন এলোমেলো হয়ে স্মৃতির জানালায় উঁকি দিচ্ছে তার মানে মন কি বাদল ঢাকা আকাশ হয়ে গেলো,আমার ক্ষেত্রে মনে হয় এটা প্রযোজ্য না। হা হা হা আসলে রিয়েলিটি ব্যাপারটাই অদ্ভুত!আজকাল যেন সব কিছু কেমন যেন এলোমেলো মনে হয়, পৃথিবীর সবার মাঝে একজন হয়ে বেঁচে থাকার খুব ইচ্ছা আমার।কিন্তু সেই ইচ্ছা হয়ত স্বপ্নই রয়ে যাবে ,হয়ত বুঝাতেই পারিনি প্রিয় জিনিসগুলো আর প্রিয় মানুষগুলোকে শত্রু নই শুভাকাঙ্ক্ষী সেই অঙ্কুর থেকে জন্ম যার নাম মানবতা ।

মূল্যহীন মানবতার এই ইট বালি পাথরের এ শহর,লোহালক্করের গাড়ির এ বহরে, খুজছে এ মন ভীষণ করে এক দীপান্বিতার সুখের বসতি যেথায় জীবন থমকে না,স্বপ্নগুলো দৃষ্টি ছাড়ায়,তৃষ্ণা বুকে বৃষ্টি ঝড়ায় এত আজ শুধুই কল্পনা কৈশরের স্মৃতিগুলো, স্বপ্নগুলো ফিকে হয়েছে অনেক আগেই। লক্ষভ্রষ্ট পথে নিজ সত্বাকে খুঁজতে খুঁজতে স্বপ্ন দীপান্বিতার সুখের বসতি খুজে গুটি গুটি পায়ে হাটঁতে শেখা সেই থেকে অনুভূতিগুলো হারিয়ে যান্ত্রিক জীবনযাপনে অভ্যস্ত হয়ে স্বপ্নপূরন করতে করতে চাওয়া পাওয়ার হিসাব কষতে কষতে একসময় জীবনের হিসাব অসম্পূর্ন রেখেই হয়ত চলে যাব।

লক্ষভ্রষ্ট পথে নিজ সত্বার খুঁজে বড় বেশি এলোমেলো ভাবে যেন পেছন ফিরে ডাকছে ফিকে হয়ে যাওয়া কৈশরের স্মৃতি,স্বপ্নগুলো ।দৃষ্টি ফেরাতেই স্মৃতিরা বেদনার নীল চাদরটা দুহাতে টেনে মুখটা ঢেকে নীরবে অঁশ্রু ঝাঁড়ে,বেদনায় চেনা পথ গুলো ঝাপসা হয়ে অভিমানে ভেঙে গেল হৃদয়ের বাঁধন। চেনা চেনা স্বপ্ন গুলো অচেনা হল,তবে ভুল করে কি হৃদয় ভুলকে বেসেছে ভাল। জীবন থমকে দাঁড়িয়ে বেদনার নীল আঁকাশের নীচে কৈশরের স্মৃতিরা পাঁহারায় সুখ গুলো দুহাতে আস্তাকুরে ফেলে যেন উদ্ধার করছে মানবতা।

অপেক্ষা যেনো আর সইছে না পথ চেয়ে বসে আছে আমার কফি হাউজ,মিঠি মিঠি আড় চোখে বলছে এইত সেদিন ছিলাম দুজনায় কত কাছাকাছিআজ তুমি নেই আছে নিঃসঙ্গতা, দেখে যাও তোমার পথ চেয়ে আমি আজও বসে আছি ,কত আশা কত যে স্বপ্ন নিয়ে। আর অপেক্ষা সইছেনা নষ্টবেলার কষ্টলোকের ধূসর সীমানা ছেড়ে চলে গিয়ে ওপাড়েতে স্বপ্নলোকের দ্বারে নৈসর্গিক সুখে ভাসব আমি আর আমার কফি। ধন্যবাদ -(হাজী সানি)Facebook Timeline Post-February 10 at 11:44am • 2018 •

**আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতি এই নামের পিতা বা স্বামীর দীনি ঈমান কত টুকু সফল যে পিতার কন্যা আর যে স্বামীর স্ত্রী বেহায়াপনা করে বেরাচ্ছে, উশৃঙ্খল জীবন যাপন করছে,বে পর্দায় থাকছেন । শুধু আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতি হলে আর শুধু নিজে নামাজ, রোজা করলেই দীনি ঈমান সফল হবেনা বেহেশ্তে যাওয়া যায় না। একজন ব্যক্তিত্বসম্পন্ন পুরুষ হওয়াও জরুরী। যাতে আপনার মা, স্ত্রী, মেয়ে এবং বোন বেহায়াপনা,উশৃঙ্খল জীবন যাপন,বে-পর্দায় থাকা থেকে বিরত থাকে । আমার চাইতে ভালো ঐ আলহাজ্ব হাফেজ মাওলানা মুফতি সাহেব ভাল বলতে পারবেন তাদের কাছথেকেই আমি শুনেছিলাম একজন নারী যদি বেপর্দায় চলে, তাহলে চারজন পুরুষ জাহান্নামে যেতে হবে আর তারা হলো-বাবা,ভাই,স্বামী,ছেলে ।

সবাই হয়তো ভাবছেন আজ আমি মুফতি হয়ে ফতোয়া দিতে ফেসবুকে স্ট্যাটাস লিখতে বসেছি নাকি ? না বন্ধুরা ভয় পাওয়ার মত কিছু নেই ফতোয়া দেয়ার মত কেউ আমি নই আমিত আমার জীবন থেকে নেওয়া কিছু তিক্ত অংশের অভিজ্ঞতার,অনুভূতির কথা আপনাদের সাথে শেয়ার করে মনটাকে একটু হালকা করে নেয়ার চেষ্টা করি কারন আমি নেতা নই যদি নেতা হতান তবে মাইক ফাটিয়ে বলে মনের ভাব প্রকাশ করতাম তবে আমার আর নেতার মধ্যে তেমন পার্থক্যও নেই নেতা সাদা কাগজে কালা কালি দিয়ে লিখে নিজের কন্ঠে আপনাদের শুনায় আর আমি জীবন পাঠশালা থেকে অ,ই,ক,খ কুড়িয়ে সেই সাদা কাগজে জীবনের তিক্ত কালি দিয়ে আপনাদের সামনে লিখে দেই ।

পৃথিবীর সবচে বড় বেকার জীবনের টাইম পাস করার উপায় সৃষ্টিকারী মহান মার্ক জাকারবার্গ, মার্ক জুকারবার্গ বা মার্ক যুকারবার্গ এর সেই মহান সৃষ্টির বদৌলতে গত কয়দিন আগে এক ভাই,বন্ধুর পরিবারের সানিদ্ধে আসার সৌভাগ্য ঘটে আর তখনই ঘটে বিপত্তি "ঐ যে আগেই বলেছিলাম আমার ভিতরের জাগ্রত দানবটার কথা সে কি করে বসে থাকবে গলার ভিতরে আঙ্গুল দিয়ে বমি করার অভ্যাস তার" সেই ভাই বন্ধুর স্ত্রীর ছবি গুলো যুকারবার্গ এর সেই মহান সৃষ্টি ফেসবুকে দেখে কেন জানি ভাল লাগলনা,কারনটা বলতে পারেন ঐ স্বামী-স্ত্রীর পৈত্রিক বংশ পরিচয়ের কারনে ,যাদের পিতা মাতা নামের আগে আলহাজ্ব ব্যবহার করছেন সমাজের দশ জনের জন্য ইসলামি শিক্ষা ব্যাবস্থার জন্য মাদ্রাসা মসজিদ করছেন তাদের ছেলে মেয়ের এমন উশৃঙ্খল ছবি দেখে আমার ভিতরের জাগ্রত দানবটা গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করেই দিল নিজেকে পন্ডিত বানিয়ে সেই বোনটির ফেসবুক ইনবক্সে দু/চারটি কথা লিখে ফেললাম, তবে ছবির মধ্যেও কথা গুলো লিখার ব্যবস্থা ছিল কিন্তু একজন নারীকে সবার সামনে বলাটা আমার কাছে সঠিক মনে হয়নি তাই ইনবক্সের সহযোগিতা নিলাম - আসসালামু আলাইকুম আপনার এবং আপনার শ্বশুরবাড়ির সবাই হজ্ব করেছেন আপনার পিতা/শশুরের সমাজে মাদ্রাসা মসজিদ জাতীয় বেশ কিছু স্থাপনা নির্মাণের পিছনে হাত রয়েছে যতটুকু আমার জানা , অন্তত তাদের জন্য অন্তত একটু জীবনের গতীতে পরিবর্তন আনা কি খুব বেশি বে মানান। আমি আপনার বাবাকে এবং আপনার শশুরদের চিনি তাই আপনার পোস্ট গুলো আমার কাছে কষ্টকর মনে হয়েছে তাদের জন্য তাই অনাধিকার চর্চা করে ফেললাম , মার্জিত দৃষ্টিতে নিবেন। অনলাইনে একটা ছবি হাজারও ভাবে মিসইউজ হয়ে থাকে এই বিষয়টা মাথায় রাখবেন । ধন্যবাদ আমি শত্রু নই শুভাকাঙ্ক্ষী বলতে পারেন । "send"

উত্তর কি আসছে ভাবছেন তাই না ? তার আগে আমার একটা ছোট গল্প শুনেন "এক গ্রামে এক মদ্যপায়ী ব্যক্তি ছিল সেই গ্রামেই আমার মত এক গলায় আঙ্গুল দিয়ে বমি করার মত পন্ডিতও ছিল একদিন পন্ডিত মদ্যপায়ী ব্যক্তিকে বলল তুমি যে মদ্যপান কর তার ক্ষতি কি তুমি জান উত্তরে মদ্যপায়ী ব্যক্তি বললেন না , তখন পন্ডিত এক গ্লাস মদের মধ্যে একটি তেলাপোকা ছেড়ে দিল একটু পরেই তেলাপোকাটি মরে গেল আর পন্ডিত চোখ বড় বড় করে পন্ডিচেরী ভাবে মদ্যপায়ী ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসা করল এবার বুঝতে পারছ ?মদ্যপায়ী গ্লাস থেকে মরা তেলাপোকাটা ফেলে দিয়ে মদটুকু ঘট ঘট করে গিলে উত্তর দিল এবার বুঝতে পারছি পন্ডিত মসাই মদ্যপান করলে পেটের ভিতরের পোকা মাকর মরে যায়। "

যাই হোক আপনারা কি আশা করছেন কি উত্তর এসেছে ? সে তার বেহায়াপনা, উশৃঙ্খল জীবন যাপন ছেড়ে দিবে এমন ওয়াদা করেছে মোটেওনা বরং আমাকে ব্লক করে দিয়েছে যাতে পরবর্তিতে আর পন্ডিতি না করতে পারি । চোরে শুনেনা ধর্মের কাহিনী- তবে আমার কষ্ট হচ্ছে সেই পিতার জন্য যে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়ছেন জীবন যাপন করছে, দান খয়রাত করে ভাল আমল করছেন কিন্তু কি কাজে আসবে এই সব যখন নিজের মেয়ে শরিয়তের বাইরে চলে যাচ্ছে। ধন্যবাদ-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post-February 11 at 11:25am• 2018 •

**সন্তানকে তাওহিদের পরিপূর্ণ শিক্ষা দেয়া অত্যন্ত জরুরি। প্রত্যেক মুসলমানের দরকার তার সন্তানের বিবেক-বুদ্ধি বিকাশের পাশাপাশি দ্বীন সম্পর্কে ধারণা দেয়া । সন্তানের কাছে পিতা মাতার কর্মই অনুকরণীয়,আদর্শ । তাই পিতা মাতার কর্তব্য সন্তানের সামনে জবানকে হেফাজত রাখা বাজে কথা বার্তা কাজ কর্ম না করা । নিজের পাশা পাশি সন্তানকে নামাজ শিক্ষা দেয়া প্রয়োজন ছোটকাল থেকেই ।ধন্যবাদ-(হাজী সানি)Facebook Timeline Post-February 18 at 8:34am • 2018 •



সতর্কীকরণ

সতর্কীকরণ : কলাম বিভাগটি ব্যাক্তির স্বাধীন মত প্রকাশের জন্য,আমরা বিশ্বাস করি ব্যাক্তির কথা বলার পূর্ণ স্বাধীনতায় তাই কলাম বিভাগের লিখা সমূহ এবং যে কোন প্রকারের মন্তব্যর জন্য ভালুকা ডট কম কর্তৃপক্ষ দায়ী নয় । প্রত্যেক ব্যাক্তি তার নিজ দ্বায়ীত্বে তার মন্তব্য বা লিখা প্রকাশের জন্য কর্তৃপক্ষ কে দিচ্ছেন ।

কমেন্ট

কলাম বিভাগের অন্যান্য সংবাদ

সর্বশেষ সংবাদ

অনলাইন জরিপ

  • ভালুকা ডট কম এর নতুন কাজ আপনার কাছে ভাল লাগছে ?
    ভোট দিয়েছেন ৮৯০৬ জন
    হ্যাঁ
    না
    মন্তব্য নেই